৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে এবং রাজনৈতিক ‘অস্থিরতা’ কতটা কাটবে, তার ওপর নির্ভর করছে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টি।
তহবিল কাটছাঁট ও কর্মী কমানোর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে, নতুন বাজেটের শুরুতেই।
সবশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
“বাজেট বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক স্থবিরতা,” মনে করেন অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান।
“আমরা তো দেখছি যৌক্তিক-অযৌক্তিক সব ক্ষেত্রেই মানুষ রাজপথে নেমে পড়ছে। তিন-চার ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এভাবে অর্থনীতির হাঁটুটা ভেঙে যায়, দুর্বল হয়ে যায়।”
অর্থনীতির নানাবিধ সংকট ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় করহার না বাড়িয়ে কর্মকর্তাদের ‘ঘুষ’ ও ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে যে ‘কর ফাঁকি’ হয় তা আদায়ে নীতি প্রণয়নের পরামর্শ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তৈরি হওয়া মতপার্থক্যের কারণে বাজেট প্রণয়ন ‘বেশ কঠিন’ বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দুই অর্থবছরে বাজেট দেওয়া এই অর্থনীতিবিদ।
“কেউ বলেন এসব খাতে কর ছাড় করুন, আবার কেউ বলেন এসব খাতে কর বাড়িয়ে দিন,” বলেন তিনি।