৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কি এই ‘নতুন বন্দোবস্ত’? সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য এই বয়ান সম্পর্কে এনসিপি নেতাদের বক্তব্যের মোদ্দা কথা হলো, তারা নতুন প্রজাতন্ত্র (রিপাবলিক) চান, যেখানে সংবিধান থেকে শুরু করে সবকিছুই নতুন করে তৈরি করা হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকেও ‘দায়বদ্ধ’ হতে হবে। মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ইনসাইড আউট’এ তিনি বলেন, “একটা গণতান্ত্রিক দেশে কেউ দায়বদ্ধতার ঊর্ধ্বে নয়। …এখন নির্বাচন কমিশন একটা পোস্ট অফিসের মত ভূমিকা পালন করছে। চিঠি আসলো, সিল মেরে পাঠিয়ে দিল।” বদিউল আলম মনে করেন, দায়বদ্ধতার বিষয় থাকলে গত তিনটি নির্বাচন কমিশন ‘কাজ করার আগে দশবার চিন্তা করত’।
রাজনৈতিক দলগুলো রাজি হলে মৌলিক সংস্কার শেষে ‘ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব’ বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ইনসাইড আউট’ এ যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এবার ১৮-৩৩ বছর বয়সী তরুণ ভোটার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। ছবিসহ ভোটার তালিকা শুরুর পরবর্তী ১৫ বছরে যুক্ত হয়েছে তারা।
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হবে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন মনে করে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে।
“যারা অপরাধ করেছে, শাস্তি পেয়েছে বা প্রাথমিকভাবে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে, তাদের নির্বাচনি ব্যবস্থা থেকে দূরে রাখার সুপারিশ করেছি।”
সংস্কারের এসব সুপারিশ হাতে পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলছেন, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেগুলো নিয়ে সামনের দিকে এগোতে চান তিনি।