Published : 28 May 2025, 04:04 PM
আইফোনের ওপর শুল্ক আরোপ করে অ্যাপলের ক্ষতি করতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল’-এর পরিচালক হ্যাসেট বলেন, শুল্ক আরোপের মাধ্যমে “অ্যাপলের ক্ষতি” করতে চায় না ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র “স্কোয়াক বক্স” অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন হ্যাসেট।
তিনি বলেছেন, “সবাই চেষ্টা করছে বিষয়টাকে এমনভাবে দেখাতে, যেন অল্প একটু শুল্ক দিলেই বড় বিপর্যয় ঘটে যাবে। যাতে শুল্ক কমানোর জন্য দর কষাকষি করা যায়। শেষ পর্যন্ত আমরা দেখতে চায় কী হয়, আপডেট কী আসে। তবে আমরা অ্যাপলের ক্ষতি করতে চাই না।”
হ্যাসেটের এ মন্তব্য এমন সময় এল যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তৈরি বিভিন্ন আইফোনের জন্য ২৫ শতাংশ বা এরও বেশি হারে শুল্ক দিতে হবে অ্যাপলকে। নিজেদের পণ্য সাধারণত চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম’সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তৈরি করে থাকে কোম্পানিটি।
পোস্টে ট্রাম্প আরও লিখেছেন, “আমি অনেক আগেই অ্যাপলের সিইও টিম কুককে বলেছি, আমি আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন আইফোন দেশটিতেই তৈরি ও উৎপাদিত হবে, ভারত বা অন্য কোনো দেশে নয়। যদি সেটা না হয় তবে অ্যাপলকে কম করে হলেও ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!”
আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হলে এর দাম প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে সিএনবিসি।
হ্যাসেট বলেছেন, “আপনি যদি ভাবেন অ্যাপলের এমন কোনো কারখানা আছে যেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক আইফোন তৈরি হয় ও যে কোনও মূল্যে সেগুলো বিক্রি করতেই হবে তবে সেক্ষেত্রে অ্যাপলই এই শুল্কের বোঝা বহন করবে, ভোক্তারা নয়। কারণ এটি একটি নমনীয় সরবরাহ ব্যবস্থা।”
সিএনবিসি লিখেছে, হ্যাসেটের মন্তব্য আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন প্রচেষ্টারই অংশ, যেখানে তারা বিভিন্ন কোম্পানির ওপর চাপ দিচ্ছে যেন ভোক্তাদের ওপর দাম বাড়িয়ে চাপ না ফেলে বরং ট্রাম্পের শুল্কের খরচ কোম্পানি নিজেরাই বহন করে।
এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতা জায়ান্ট ওয়ালমার্ট সতর্ক করে বলেছিল, এ বাড়তি শুল্কের খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে হতে পারে তাদের। ওই সময় ট্রাম্প ওয়ালমার্ট’কে বলেছিলেন, “শুল্কের বোঝা তোমরাই বইবে।”
এদিকে, মঙ্গলবার অ্যাপলের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১ শতাংশেরও বেশি। তবে এ বিষয়ে সিএনবিসির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি অ্যাপল।