Published : 27 May 2025, 09:59 PM
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল এক লাফে ৩০০ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)।
বতর্মানে প্রতি বিও হিসাবের বিপরীতে বার্ষিক মাশুল দিতে হয় ৪৫০ টাকা।
মঙ্গলবার কমিশনের নিয়মিত সভায় নেওয়া এ সিদ্ধান্ত পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন সংস্থাটি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হয় বিভিন্ন ব্রোকারেজ কোম্পানির পরিচালিত বিও হিসাবের মাধ্যমে। এ হিসাবে বিনিয়োগকারীর অর্থ ও শেয়ারের তথ্য থাকে।
বর্তমানে মাশুল হিসেবে নেওয়া ৪৫০ টাকার মধ্যে সিডিবিএল নেয় ১০০ টাকা, বিএসইসি নেয় ৫০ টাকা। ব্রোকারেজ কোম্পানি পায় ১০০ টাকা এবং সরকারি কোষাগারে যায় ২০০ টাকা।
মাশুল কমে ১৫০ টাকা করায় এ ভাগের বিষয়ে নতুন আদেশ দিতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে।
একই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ব্রোকারেজ হাউজ পরিচালিত বিনিয়োকারীদের সমন্বিত হিসাবের (সিসি অ্যাকাউন্ট) বিপরীতে বছরে যে ব্যাংক সুদ আসে, সেটির ২৫ শতাংশ ‘স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ড’ এ জমা দিতে হবে।
বর্তমানে এ খাত থেকে আসা আয়ের পুরো অংশই ব্রোকারেজ কোম্পানি পেয়ে থাকে।
আরেক সিদ্ধান্তে বার্জার পেইন্টসকে এক হাজার ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে রাইট শেয়ার ছাড়ার অনুমতি দেয় কমিশন। এতে প্রতি শেয়ারের দর হবে ১ হাজার ১১০ টাকা।
উত্তোলিত ৩০২ কোটি ৮২ লাখ টাকা কোম্পানিটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৃতীয় কারখানা স্থাপনে ব্যয় করবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
একই সভায় জিপিএইচ ইস্পাতকে প্রিমিয়ামসহ ১৫ টাকা দরে ১ অনুপাত ৩ হারে রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল করা হয়।
এছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালক ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ‘করপোরেট গভর্নেন্স কোড, ২০১৮’ পরিপালনে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।