Published : 28 May 2025, 04:59 PM
অধিকাংশ শেয়ারের দর পতন হওয়ায় নতুন করে আরও ৬২ পয়েন্ট হারিয়েছে দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইর মূল্যসূচক।
আগের দিন সূচক ছিল ৪ হাজার ৬৭৮ পয়েন্ট।
বুধবার প্রধান সূচকের সঙ্গে অন্য দুই সূচকেও পতন দেখা দেয়।
লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে সামান্য কমে হয় ২৬৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের দিন ছিল ২৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
কোভিড মহামারির প্রভাব সামাল দিতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সূচকের পতন ঠেকানোর চেষ্টা হয়। তবে লেনদেন খরায় ভুগতে থাকে পুঁজিবাজার, যা কাটিয়ে ওঠার একটি আভাস পাওয়া যায় গতবছর ৫ অগাস্ট সরকার বদল হলে।
দ্রুত সূচক ও লেনদেন বাড়তে শুরু করে। মাস খানেক স্থায়ী হয়ে আবার ওঠানামায় চলে যায় গত নভেম্বরের শেষে। এভাবে শেয়ারে হাতবদলের পরিমাণ কমতে থাকলে প্রভাব পড়ে সূচকেও।
নিয়ন্ত্রক সংস্থায় নতুন নেতৃত্ব আসার পরও সূচক পতন অব্যাহত আছে। গত ৬ মে বড় পতনের পর গত ১৪ মে লেনদেনও নেমে যায় তিনশ কোটি টাকার নিচে।
তারপর থেকে সূচক ও লেনদেনে কোনো সুখবর পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। পতনের কারণ বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
টানা ছয়দিন পতনের ধারাবাহিকতায় সবশেষ বুধবার দিন শেষে সূচক আরও কমে হয় ৪ হাজার ৬১৫ পয়েন্ট। আগের দিন সূচকের অবস্থান ছিল সাড়ে ৫ বছর আগের স্থানে।
ক্রমাগত পতনের জন্য বাজারের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতাকে কারণ মনে করছেন ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাজারের নেতৃত্বের প্রতি কারো আস্থা নেই। বাজার ভালো করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে অনেক কিন্তু সেসব কার্যকর হবে কি না, সেই প্রশ্নটি বিনিয়োগকারীদের মনে রয়েছে। তারা তো আশ্বস্ত হতে চায়। সেই আস্থা ফেরাতে না পারলে বিনিয়োগকারীরা কেন বিনিয়োগ করবেন?”
বুধবার মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ বা ৪১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয় ব্যাংক খাতের। স্বাভাবিক সময়ে ব্যাংক খাতের শেয়ার হাতবদল হয় ৬০ থেকে ৮০ কোটি টাকার।
লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতের শেয়ার হাতবদল হয় ৩৪ কোটি ৭০ কোটি টাকার। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন ছিল ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকার।
লেনদেনে আসা ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯৫টির শেয়ার দর হারায়। প্রতিষ্ঠান ও ফান্ড মিলিয়ে মিলিয়ে আগের দরে লেনদেন হয় ৪০টির আর বৃদ্ধি পায় ৬৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে আসে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ফুওয়াং ফুড ও ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড।
অন্যদিকে শেয়ার দর হারানোর শীর্ষে চলে আসে এনআরবি ব্যাংক, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ফান্ড ও ইসলামিক ফাইন্যান্স।