Published : 26 May 2025, 06:09 PM
দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে।
সোমবারও প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৭ পয়েন্ট, যা আগের দিন ছিল ৪ হাজার ৭৩৬।
সুখবর নেই লেনদেনেও; চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেটি ৩০০ কোটি টাকার নিচেই রয়েছে।
রোববার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে শেয়ার হাতবদল হয় ২৩৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেখান থেকে কিছুটা বেড়ে সোমবার লেনদেন দাঁড়ায় ২৮২ কোটি ৬১ লাখ টাকায়।
এদিন লেনদেন শুরু হলে প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু দিনের বাকিটা সময় প্রবণতা ছিল উল্টো।
শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেলে সূচক কমতে কমতে ঠেকে ৪ হাজার ৭১৯ পয়েন্ট, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
শনিবার সূচক ছিল ৪ হাজার ৭৪৬ পয়েন্ট। সেদিন সেটিও ছিল বছরের সর্বনিম্ন সূচক। পরের দিন আরও ১০ পয়েন্ট কমে সূচক দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৩৬।
গত ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পুঁজিবাজারের লেনদেন বাড়তে থাকে। বেশ কয়েকদিন দুই হাজার কোটি টাকার ঘরেও লেনদেন হয়।
এর এক মাস বাদে সেই প্রবণতার ছন্দপতন ঘটে, লেনদেন নেমে আসে তিনশ কোটি টাকার ঘরে। কয়েকদিন আড়াইশ কোটি টাকার মতোও লেনদেন হয়। মাঝে মাঝে এ পরিমাণ চারশ কোটি টাকার ঘরে উঠলেও তা টেকসই হয়নি।
সোমবার লেনদেনে আসা ৩৯৩ কোম্পানির মধ্যে দর বাড়ে ১৪৮টির, কমে ১৬৮ টির, আগের দরে লেনদেন করে ৭৭টি।
সবচেয়ে বেশি হাতবদল হয় ব্যাংক, প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতের কোম্পানির শেয়ার।
ব্যাংক খাতে হাতবদল হয় ৪৬ কোটি টাকার (প্রায় ২০ শতাংশ) শেয়ার।
প্রকৌশল খাত ৩৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ও বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে ২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
এদিন সবচেয়ে বেশি বাড়ে বিবিএস ক্যাবলস, নাহি অ্যালুমনিয়াম ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের। সবচেয়ে বেশি দর হারায় ওয়ান ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক।