Published : 28 May 2025, 09:38 PM
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় পারিবারিক অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে ‘বিষক্রিয়ায়’ একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আরও ১১ জন অসুস্থ হয়েছেন।
উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের এ ঘটনায় বুধবার পরিবারের এক নারী মারা গেছেন বলে বাঘারপাড়া থানার ওসি ফকির তাইজুর ইসলাম জানান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে ওই গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী নার্গিস বেগম (৫৫) মারা যান।
অসুস্থ অন্যরা হলেন- গৃহকর্তা ফারুক হোসেন (৬০), ফারুক হোসেনের তিন মেয়ে বৃষ্টি (১৮), পিংকি (১৯) ও সুইটি (২০), বৃষ্টির ছেলে ছাফুয়ান (৪), সুইটির দুই মেয়ে সাবিহা (দেড় বছর) ও সাদিকা (৪ মাস), ফারুক হোসেনের শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৭০), আনোয়ারা বেগমের ছেলের দিকের নাতি জুবায়ের (২), পুত্রবধূ সেলিনা খাতুন (৩৫) এবং সেলিনা খাতুনের ছেলে হাসিকুল (১৩)।
ফারুক হোসেনের মেঝ মেয়ের জামাই বাঘারপাড়া উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে তার শ্বশুরবাড়িতে এক পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে ১২ জন একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে। পোল্ট্রি মুরগি, ডাল আর ভাতের সঙ্গে অন্যান্য অনুষঙ্গ ছিল।
খাবার খাওয়ার পর পরই সবার একসঙ্গে বমি ও পায়খানা শুরু হয়। রাতেই তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজনকে রেখে বাকি আটজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, “আমারও দাওয়াত ছিল। কিন্তু কাজের কারণে যাওয়া হয়নি। খবর পেয়ে গিয়ে সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খায়রুল আল মোদাচ্ছির বলেন, “সোমবার রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর গ্রামের শিশুসহ চারজন ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় চার মাসের একটি শিশু ও একজন বৃদ্ধের কোনোভাবেই বাথরুম বন্ধ হচ্ছিল না। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
বাঘারপাড়া থানার ওসি বলেন, “মাংস খেয়ে অসুস্থতার কথা বলা হচ্ছে। কিন্ত অনুসন্ধানে জানা গেছে, রোববার পোল্ট্রি মুরগি কিনে কিছুটা খেয়ে পরের দিন জন্য ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। সেই মুরগি সোমবার বিকালে রান্না করেন নার্গিস বেগম। এ সময় রান্না করা মাংসে হয়তো কিছু পড়ে বিষক্রিয়া হয়েছে। প্রথম দিন কারো সমস্য হয়নি।”