Published : 29 May 2025, 12:57 AM
বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে নিয়ে ‘আপত্তিকর ও মানহানিকর’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বনানী থানা শাখার ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মবিনা জান্নাতের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
কায়সার কামালের পক্ষে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালতে এ বিষয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একইসঙ্গে বিচারক ‘মানহানিকর’ বক্তব্য ইউটিউবসহ সকল সোশাল ও ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মবিনা জান্নাত আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের ‘সুনাম ক্ষুণ্ন করার’ জন্য বিভিন্ন ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর’ তথ্যের ‘অপপ্রচারে’ লিপ্ত হন।
গত ২৫ মে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনে ‘কায়সার-কামালকে-থামাবে-কে-আর-কত কেলেঙ্কারি’, ‘কায়সার কামালের সহায়তায় ৫ মে জামিনে মুক্তি পান মোকাদ্দেস হানিফ’ এমন শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়, যা ‘ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য সৃজিত’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
সেখানে বলা হয়েছে, মবিনা জান্নাতের করা বিচারাধীন একটি মামলায় মোকাদ্দেস হানিফ জামিন পেয়েছেন। সেই মামলায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন না। এমনকি শুনানিতেও অংশ নেননি।
তারপরও মবিনা জান্নাতের সংবাদ সম্মেলনে বলা ‘মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া, ভিত্তিহীন, মানহানিকর’ বক্তব্য ধরে কিছু সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে সাংবাদিকতার নিয়ম নীতি ‘মানা হয়নি’ এবং কায়সার কামালের বক্তব্যও শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
“এতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তথা গোটা আইনজীবী সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে” বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।