শ্রেয়াসের টেস্ট দলে না থাকার প্রশ্নে গাম্ভির, ‘আমি নির্বাচক নই’

আইপিএলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। লাল বলের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভালো করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলেন দলের সফলতম ব্যাটসম্যান। তবু ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট দলে জায়গা পাননি শ্রেয়াস আইয়ার। কেন দলে নেই ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান? ভারতের প্রধান কোচ গৌতাম গাম্ভির বললেন, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তি তিনি নন।

ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজের জন্য গত শনিবার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করে ভারত। প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পান তরুণ ব্যাটসম্যান সাই সুদার্শান। সাত বছর পর দলে ফেরেন আরেক ব্যাটসম্যান কারুন নায়ার। তবে জায়গা হয়নি শ্রেয়াসের।

তার নেতৃত্বে এবার ১১ বছরের মধ্যে প্রথমবার আইপিএলের প্লে-অফে উঠেছে পাঞ্জাব কিংস। প্রাথমিক পর্বে ১৪ ইনিংসে ৫১.৪০ গড় ও ১৭১.৯০ স্ট্রাইক রেটে ৫১৪ রান করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই।

প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা রাঞ্জি ট্রফির সবশেষ আসরে সাত ইনিংসে ৬৮.৫৭ গড়ে তিনি করেন ৪৮০ রান। সেঞ্চুরি দুটি, যার একটি ডাবল।

গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়েও তার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান। পাঁচ ইনিংসে ২৪৩ রান করে দলের সর্বোচ্চ ও আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি।

এই মাসের শুরুতে পাঁচ দিনের ব্যবধানে টেস্ট ক্রিকেট থেকে রোহিত শার্মা ও ভিরাট কোহলির অবসরের পর ধারণা করা হচ্ছিল, টেস্ট দলে ফিরবেন শ্রেয়াস। কিন্তু অপেক্ষা বেড়েছে তার।

টেস্ট দলে তাকে না নেওয়ার প্রসঙ্গে ভারতের প্রধান নির্বাচক আজিত আগারকার বলেছিলেন, “হ্যাঁ, শ্রেয়াস আইয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছে, কিন্তু এই মুহূর্তে টেস্ট দলে তার কোনো জায়গা নেই।”

বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলার সময় শ্রেয়াসের টেস্ট দলে না থাকা নিয়ে প্রশ্নে গাম্ভির ছোট্ট করে শুধু বলেন, “আমি নির্বাচক নই।”

২০২১ সালের নভেম্বরে শ্রেয়াসের টেস্ট অভিষেক হয় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। অভিষেক ইনিংসেই উপহার দেন সেঞ্চুরি। পরে আরও পাঁচবার পঞ্চাশ ছাড়ালেও, সেঞ্চুরির স্বাদ আর পাননি। এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্টে ৩৬.৮৬ গড়ে তার রান ৮১১।

সবশেষ তিনি ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে খেলেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।