Published : 28 May 2025, 05:59 PM
লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে জিতেশ শার্মার ম্যাচ জয়ী ৩৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংসটি আছে এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় ২৩ নম্বরে। তবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ও আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ী কোচ টম মুডির মতে, আসরের সেরা ইনিংস এটিই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কিপার-ব্যাটসম্যান জিতেশ কঠিন পরিস্থিতিতে এমন ইনিংস খেলতে পারার জন্য কৃতিত্ব দিলেন দলের মেন্টর ও সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিককে।
লাক্ষ্ণৌতে মঙ্গলবার ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্বাদশ ওভারে ভিরাট কোহলির বিদায়ের পর যখন উইকেটে যান জিতেশ, তখনও বেঙ্গালুরুর দরকার ৫২ বলে ১০৫ রান। ম্যাচ অনেকটাই হেলে লাক্ষ্ণৌর দিকে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, বেঙ্গালুরুর জয়ের সম্ভাবনা তখন স্রেফ ২১.০৯ শতাংশ।
সেখান থেকেই ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৩ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংসে আট বল বাকি থাকতেই দলকে ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয় এনে দেন জিতেশ। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১০৭ রানের জুটিতে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের অবদান কেবল ২০।
টি-টোয়েন্টিতে বেঙ্গালুরুর সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এটি। প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে এই জয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করে তারা। এখন ফাইনালে যাওয়ার দুটি সুযোগ পাবে দলটি।
ইএসপিএনক্রিকইনফোর টাইম আউটে মুডি তুলে ধরলেন, কেন জিতেশের ইনিংসটি তার কাছে আসরের সেরা।
“আমার কাছে ইনিংসটি এই মৌসুমে আইপিএলের সেরা ইনিংস। তরুণ ও অভিজ্ঞদের থেকে আমরা দুর্দান্ত কিছু ইনিংস দেখেছি, কিন্তু এটা, ওয়াও, সত্যিই অসাধারণ!”
“অনেক প্রতিকূলতা ছিল, কিন্তু সে সবকিছু উপেক্ষা করে দাপট দেখিয়ে ম্যাচটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। সে শুধু দাপটই দেখায়নি, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলেছে। যেভাবে সে খেলেছে, দেখে মনে হচ্ছিল, যেন আগেও সে অনেকবার এমন কিছু করেছে।"
৫৩ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারে জিতেশের প্রথম ফিফটি এটি। এই ইনিংস খেলার আনন্দ প্রকাশের ভাষা যেন খুঁজে পাচ্ছেন না ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
“আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, এমন একটা ইনিংস খেলেছি। আমি (অন্য সব চিন্তা দূরে রেখে) কেবল ওই মুহূর্তে নিবিষ্ট থাকতে এবং যতটা সম্ভব কাছ থেকে বল দেখার চেষ্টা করছিলাম।”
উইকেটে যাওয়ার পর শুধু দলের মেন্টর ও বেঙ্গালুরুর সাবেক ব্যাটসম্যান কার্তিকের পরামর্শ মেনে চলেছেন জিতেশ।
“আমি তখন কিছুই ভাবছিলাম না। ভিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর আমি ম্যাচ গভীরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমার মেন্টর, গুরু দিনেশ কার্তিক আমাকে বলেছিলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে, তোমাকে ম্যাচ গভীরে নিতে হবে, আর তোমার এমন দক্ষতা আছে যে, তুমি যেকোনো সময় ম্যাচ শেষ করতে পারো।’”
চোটের কারণে বেঙ্গালুরুর নিয়মিত অধিনায়ক রাজাত পাতিদার শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘ইমপ্যাক্ট বদলি’ হিসেবে খেলায় সবশেষ দুটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন জিতেশ। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস।