লাইভ

হাসানের ৫ উইকেট, বাংলাদেশের বড় হার

বোলিংয়ের পর ব‍্যাটিংও ভালো হলো না বাংলাদেশের। হাসান আলির ক‍্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে সহজেই জিতল পাকিস্তান।

২০২ রানের লক্ষ‍্য তাড়ায় ১৯.২ ওভারে ১৬৪ রানে থামল বাংলাদেশ।

শরিফুল ইসলামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টানার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ৫ উইকেট পেলেন হাসান।

এই পেসারের আগের সেরা ছিল ১৮ রানে ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে দলে ফেরার ম‍্যাচে তিনি ৩০ রানে নিলেন ৫ উইকেট।

৩৭ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। নতুন কোচ মাইক হেসন যুগ শুরু হলো জয় দিয়ে।

দ্বাদশ ওভারে এক পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ১০০। সেখান থেকে পুরো ২০ ওভার খেলতে ব‍্যর্থ হলো দলটি। তারা ৬৪ রান যোগ করতে হারাল শেষ ৮ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭ (ফাখার ১, সাইম ০, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নাওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮, খুশদিল ৫, আশরাফ ১১*, হাসান ১*; মেহেদি ৪-০-৩৬-১, শরিফুল ৩-০-৩২-২, হাসান ৩-০-২৪-১, তানজিম ২-০-২২-১, রিশাদ ৪-০-৫৫-১, শামীম ৪-০-৩১-০)

বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৬৪ (তানজিদ ৩১, পারভেজ ৪, লিটন ৪৮, হৃদয় ১৭, জাকের ১৩, শামীম ৪, রিশাদ ৩৬, তানজিম ১, মেহেদি ২, হাসান ৯*, শরিফুল ৫; আশরাফ ৩-০-১৮-১, হাসান ৩.২-০-৩০-৫, আবরার ৪-০-৩৫-০, রউফ ৩-০-৩৬-০, শাদাব ৪-০-২৭-২, খুশদিল ১-০-৬-১, সালমান ১-০-১২-১)

ছক্কার চেষ্টায় অক্কা মেহেদি

বড় হার প্রায় নিশ্চিত। এই সময়ে ব‍্যবধান কমানোর চেষ্টা করে ব‍্যর্থ বলেন শেখ মেহেদি হাসান।

ফাহিম আশরাফের বলে বড় শটের চেষ্টায় ক‍্যাচ দিলেন তিনি। অনায়াসেি মুঠোয় নিলেন হাসান নাওয়াজ।

৩ বলে ২ রান করেন মেহেদি।

১৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৯ ওভারে ১৬০।

একই ওভারে জাকের-তানজিমের বিদায়

চাপের মুখে একপ্রান্তে পাল্টা আক্রমণে কিছু রান বাড়াচ্ছিলেন জাকের আলি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না তিনি। 

হাসান আলির আগের বলেই চমৎকার শটে ছক্কা মারেন জাকের। বদলা নিতে বাউন্সার করেন হাসান। ঠিকঠাক খেলতে পারেননি জাকের। ফাইনাল লেগে সহজ ক্যাচ নেন আবরার আহমেদ। 

১ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় ২০ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন জাকের। এক বল পরই হাসানের চতুর্থ শিকার হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ১ রান করা তানজিম হাসান। 

আগের সিরিজে ৫ নম্বরে নামা শেখ মেহেদি হাসান এবার নামেন ৯ নম্বরে। তাকে সঙ্গ দিতে ১০ নম্বরে এলেন হাসান মাহমুদ। প্রথম বলেই ছক্কা মারেন লেজের ব্যাটসম্যান। 

১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৫৬ রান। ১২ বলে জয়ের জন্য বাকি আরও ৪৬ রান।

অল্পেই ফিরলেন রিশাদ

ধীরে ধীরে বড় পরাজয়ের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। দলকে বিপদে ফেলে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেছেন রিশাদ হোসেন।

শাদাব খানের বলে বড় শটের খোঁজে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন রিশাদ। সহজেই ফিরতি ক্যাচ নেন পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক। ৫ বলে ৪ রান করেন রিশাদ।

১৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৬ রান। শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন আরও ৭৬ রান।

জাকের আলি ১২ বলে ১৫ ও তানজিম হাসান ৩ বলে ১ রানে অপরাজিত।

৬ উইকেট পড়ার পরও নামেননি শেখ মেহেদি হাসান।

টিকলেন না শামীম

একশ ছুঁতেই পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের পর ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন শামীম হোসেন।

সালমান আলি আগার লেগ স্টাম্পের বাইরের বল অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাট ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন শামীম। তবে এই প্রক্রিয়ায় পপিং ক্রিজের বাইরে চলে আসে তার পেছনের পা।

উইকেটের পেছনে বল ধরে প্রথম দফায় বেলস ফেলতে পারেননি মোহাম্মদ হারিস। তবু ক্রিজে ফিরতে পারেননি শামীম। দ্বিতীয় চেষ্টায় স্টাম্প এলোমেলো করে উইকেট নিশ্চিত করেন হারিস।

২ বলে ৪ রান করে আউট হন শামীম।

ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন। ৬ বলে ১০ রানে খেলছেন জাকের আলি।

১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১১৮ রান। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ৮৪ রান।

শেষ হলো হৃদয়ের ভোগান্তি

ওভার প্রতি প্রয়োজন ১২ রানের বেশি। তখনও তাওহিদ হৃদয়ের স্ট্রাইক রেট একশর নিচে। সেটা আর বাড়াতে পারলেন না এই মিডল অর্ডার ব‍্যাটসম‍্যান।

খুশদিল শাহর বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হলেন হৃদয়। স্টাম্পে তাক করে করা ডেলিভারি লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় ব‍্যাট খেলতে পারেননি তিনি।

২২ বলে এক চারে হৃদয় করেন ১৭ রান।

১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১০৬।

ছক্কা মেরে লিটনের অক্কা

শাদাব খানের ফুল লেংথ ডেলিভারি চমৎকার স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে ফিফটির কাছে পৌঁছে গেলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু পরের বলেই আলগা শটে তিনি ক্যাচ দিয়ে বসলেন পয়েন্ট ফিল্ডারের হাতে।

১ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় ৩০ বলে ৪৮ রান করে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে তার ফিফটিখরা পৌঁছে গেল ১০ ইনিংসে।

ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি। ২০ বলে ১৬ রানে অপরাজিত তাওহিদ হৃদয়।

১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০০ রান। জয়ের জন্য ৪৮ বলে প্রয়োজন ১০২ রান।

৪০ বলে জুটির পঞ্চাশ

হারিস রউফের প্রথম বল চমৎকার শটে ছক্কায় ওড়ালেন লিটন কুমার দাস। দুই বল পর শর্ট ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় ব্যাটের কানায় লেগে পেলেন আরেকটি ছক্কা। একই সঙ্গে পূর্ণ হলো তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটির পঞ্চাশ রান, ৪০ বলে।

দুই ছক্কায় রউফের ওভারে ১৭ রান নিয়ে রান রেট কিছুটা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। ১১ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯২ রান। 

জয়ের জন্য বাকি ৫৪ বলে প্রয়োজন ১১০ রান। 

লিটন ২৬ বলে ৪১ ও হৃদয় ১৮ বলে ১৫ রানে অপরাজিত।

মাঝপথে ২ উইকেটে ৭৫

বিশাল রান তাড়ায় শুরুটা একদমই ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ। ইনিংসের ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে মাত্র ৭৫ রান। বাকি ৬০ বলে করতে হবে আরও ১২৭ রান। ওভারপ্রতি প্রয়োজন প্রায় ১৩ রান করে।

তানজিদ হাসানের বিদায়ের পর একদমই রানের গতি বাড়াতে পারেননি লিটন কুমার দাস ও তাওহিদ হৃদয়। প্রথম ৪ ওভারে ৩৭ রান করা বাংলাদেশ পরের ৬ ওভারে করেছে মাত্র ৩৮ রান।

লিটন ২১ বলে ২৫ ও হৃদয় ১৭ বলে ১৫ রানে অপরাজিত।

পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট

বড় রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতে করতে পারেনি খুব বেশি রান। এই সময়ে হরিয়েছে ২ উইকেট।

ফিরে গেছেন পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান।

৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪৫ রান। তানজিদের বিদায়ের পর কমে গেছে রানের গতি।

৭ বলে ৬ রানে খেলছেন লিটন দাস। সমান বলে তাওহিদ হৃদয়ের রান ৪।

তানজিদকে থামালেন হাসান

দ্রুত তোলার চেষ্টায় থাকা তানজিদ হাসানকে বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন হাসান আলি। তার নাকল বলে বোল্ড হয়ে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার।

আগের ওভারে আবরার আহমেদকে জোড়া ছক্কা মারেন তানজিদ। পরের ওভারে হাসানকে মারনে জোড়া চার।

ওভারের শেষ বলে বড় শটের চেষ্টায় লাইনে যেতে পারেননি তানজিদ। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ১৭ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৩১ রান করেন তানজিদ।

৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৭। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।

শুরুতেই ফিরলেন পারভেজ

বড় লক্ষ্যে চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে রানের খাতা খুললেন তানজিদ হাসান। ওভারের শেষ বলে চার মারলেন পারভেজ হোসেন। কিন্তু প্রথম ওভারের ভালো শুরু ধরে রাখতে পারল না বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে সুযোগ দিয়েও অল্পের জন্য বেঁচে যান পারভেজ। একটুর জন্য বল পড়ে মিড অনে থাকা হারিস রউফের সামনে। 

তবে ওভারের শেষ বলে আর ভাগ্য সহায় হয়নি পারভেজের। হাসান আলির বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় মিড অনে রউফের হাতেই ধরা পড়েন ৫ বলে ৪ রান করা বাঁহাতি ওপেনার।

ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। ৭ বলে ১০ রানে খেলছেন তানজিদ হাসান।

২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৪ রান।

পাকিস্তানের রান-পাহাড়

৮ বলের মধ‍্যে দুই ওপেনারকে ফেরানোর সুবিধা কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। ধারহীন বোলিংয়ে রান দিল অকাতরে। তাতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ল পাকিস্তান।

টস জিতে ব‍্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২০১ রান করেছে স্বাগতিকরা।

দুই ওপেনার ছাড়া প্রথম ছয় ব‍্যাটসম‍্যানের বাকি সবাই পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তোলেন। ৩৪ বলে ৫৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক সালমান আলি আগা।

১৮ বলে ৩১ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। ২২ বলে ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংষ খেলেন হাসান নাওয়াজ।

একটা সময় রান দুইশর নিচে রাখার আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ২৫ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে দুইশ রানের ঠিকানায় নিয়ে যান শাদাব খান। শেষ ওভারে তাকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।  

সদ‍্য সমাপ্ত পিএসএলে খেলা লেগ স্পিনার রিশাদ ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন শামীম হোসেন।

পেসারদের কেউই কোটা পূরণ করতে পারেননি। ৩ পেসার মিলিয়ে করতে পারেন ৮ ওভার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭ (ফাখার ১, সাইম ০, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নাওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮, খুশদিল ৫, আশরাফ ১১, হাসান ১; মেহেদি ৪-০-৩৬-১, শরিফুল ৩-০-৩২-২, হাসান ৩-০-২৪-১, তানজিম ২-০-২২-১, রিশাদ ৪-০-৫৫-১, শামীম ৪-০-৩১-১)

খুশদিলকে ফেরালেন শামীম

ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে চমৎকার দুটি ওভারের পর এবার সাফল্যের দেখা পেলেন শামীম হোসেন। ক্রিজ ছেড়ে মারার চেষ্টায় স্টাম্পড হলেন খুশদিল শাহ। ৫ রান করতে ১০ বল খেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই শামীমের প্রথম উইকেট।  

ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ফাহিম আশরাফ। ৯ বলে ১১ রানে অপরাজিত শাদাব খান। 

১৬.১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫১ রান।

জীবন পেয়ে পরের বলেই আউট নাওয়াজ

রিশাদ হোসেনের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মারলেন হাসান নাওয়াজ। পরের বলে বড় শটের চেষ্টায় দিলেন ক‍্যাচ। লং অফ সীমানায় কিছুটা এগিয়ে থাকা পারভেজ হোসেন সময় মতো পেছাতে পারলেন না, শেষে পেছন দিকে ঝাঁপ দিলেও হাত ছোঁয়াতে পারলেন না।

ক‍্যাচ দিয়েও উল্টো চার পেয়ে গেলেন নাওয়াজ।

তবে পরের বলেই ফিরতি ক‍্যাচ নিয়ে নাওয়াজকে ফেরালেন রিশাদ।

২২ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে ৪৪ রান করেন নাওয়াজ।

১৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৩৯। ক্রিজে শাদাব খানের সঙ্গী খুশদিল শাহ।

ঝড়ো জুটি ভাঙলেন হাসান

নতুন স্পেলে ফিরে দ্বিতীয় ডেলিভারিটি 'নো' বল করে ছক্কা হজম করেন হাসান মাহমুদ। তবে শেষ বলে সালমান আলি আগাকে ফিরিয়ে ওভারটা দারুণভাবে সমাপ্ত করলেন তিনি।

লেগ স্টাম্পের ওপর করা ফুল টস বলে অফ সাইডে খেলার চেষ্টায় কাভারে থাকা তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সালমান। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৫৬ রান করে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

তার বিদায়ে ভাঙে ৩৪ বলে ৬৫ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। 

ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শাদাব খান। ১৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত হাসান নাওয়াজ।

১২ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১৮ রান।

২৬ বলে জুটির পঞ্চাশ

সাত ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারালেও রানের গতি কমতে দেননি সালমান আলি আগা ও হাসান নাওয়াজ। দুজন মিলে মাত্র ২৬ বলে গড়লেন পঞ্চাশছোঁয়া জুটি।

রিশাদ হোসেনের বলে ছক্কা মেরে জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ করেন নাওয়াজ। 

১১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৫ রান। সালমান ৩০ বলে ৫৩ ও নাওয়াজ ১৩ বলে ১৯ রানে অপরাজিত।

২৯ বলে সালমানের ফিফটি

তানজিম হাসানের ফুল লেংথ ডেলিভারি চমৎকার শটে ছক্কায় ওড়ালেন সালমান আলি আগা। পরের দুই বল গড়িয়ে পাঠালেন সীমানার ওপারে। একইসঙ্গে পঞ্চাশে পৌঁছে গেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

চার ইনিংসের মধ্যে সালমানের এটি তৃতীয় ফিফটি। মাত্র ২৯ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় পঞ্চাশ করেন তিনি। 

সালমানের ব্যাটে ইনিংসের মাঝপথে দারুণ অবস্থানে পাকিস্তান। ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৭ রান। 

সালমান ২৯ বলে ৫২ ও হাসান নাওয়াজ ৮ বলে ১২ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ২১ বলে ৪৪ রান।

হারিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তানজিম

সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসে সাফল‍্য পেলেন তানজিম হাসান। মোহাম্মদ হারিসকে ফিরিয়ে ভাঙলেন দ্রুত এগোনো জুটি।

আগের বল ছিল স্লোয়ার, বুঝতে পারেননি ব‍্যাটসম‍্যান। পরেরটি ছিল গতিময় লেংথ বল। পিছিয়ে গিয়ে লং অনের উপর দিয়ে খেলেন হারিস। কিন্তু টাইমিং করতে পারেনি হারিস। নিজের জায়গা থেকে এক ইঞ্চিও নড়তে হয়নি ফিল্ডার তানজিদ হাসানের। ভাঙে ৩১ বল স্থায়ী ৪৮ রানের জুটি।

১ ছক্কা ও চারটি চারে ১৮ বলে ৩১ রান করেন হারিস। 

৭ ওভারে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৫৮। ক্রিজে সালমান আলি আগার সঙ্গী হাসান নাওয়াজ।

পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর আর তেমন ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান করে ফেলেছে পাকিস্তান।

অথচ এক পর্যায়ে ৩ ওভারে ২ উইকেটে ১২ রান ছিল পাকিস্তানের। এরপর মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলি আগার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের বাকি ৩ ওভারে আরও ৪০ রান করে স্বাগতিকরা।

হারিস ১৬ বলে ৩১ ও সালমান ১৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত।

রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া

তৃতীয় ওভারেও একটা উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু ফিল্ডারের ব‍্যর্থতায় নষ্ট হলো সুযোগ।

হাসান মাহমুদের বল মিড অনে পাঠিয়ে ঝুঁকি নেন মোহাম্মদ হারিস। ফিল্ডার দ্রুত কুড়িয়ে থ্রো করলেও স্টাম্পে লাগাতে পারেননি। তাই বেঁচে যান ব‍্যাটসম‍্যান।

সে সময় ৬ রানে থাকা হারিস পরের ওভারে চড়াও হন শরিফুল ইসলামের উপর।

প্রথম বলে ব‍্যাটের কানায় লেগে স্লিপের উপর দিয়ে বাউন্ডারি পান ব‍্যাটসম‍্যান। পরের বল একটুর জন‍্য যায় মিড অন ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে। তৃতীয় বলে হাঁকান ছক্কা।

ওভার থেকে আসে ১৬ রান।

৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ২৮।

শরিফুলের ‘ফিফটি’

ফাখার জামানকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশ উইকেট পূর্ণ করলেন শরিফুল ইসলাম। প্রায় চার বছরের ক্যারিয়ারে ৪৪ ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।

এই সংস্করণে উইকেটের ফিফটি করা বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার শরিফুল। ১২৬ ইনিংসে ১৪৯ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে সাকিব আল হাসান। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান ১০৬ ইনিংসে ১৩৪ ও তাসকিন আহমেদ ৭১ ইনিংসে নিয়েছেন ৮২ উইকেট।

বুধবারের ম্যাচে উইকেটের ফিফটি হতে পারে শেখ মেহেদি হাসানেরও। প্রথম ওভারে নেওয়া সাইম আইয়ুবের উইকেটটি তার ৪৯তম।

ফাখারকে ফেরালেন শরিফুল

প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠিয়ে দিল বাংলাদেশ। শেখ মেহেদি হাসানের পর আঘাত করলেন শরিফুল ইসলাম। সাইম আইয়ুবের পথে হাঁটলেন ফাখার জামান।

দ্বিতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলে শরিফুলের বলে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি ফাখার। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। এই সিরিজে ডিআরএস না থাকায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ১ রান করা ফাখারকে। 

ক্রিজে মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গী হয়েছেন অধিনায়ক সালমান আলি আগা। 

১.৩ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬ রান।

তৃতীয় বলেই মেহেদির আঘাত

পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাঁহাতি হওয়ায় প্রথম ওভারেই অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের হাতে বল দিলেন লিটন কুমার দাস। সুফলও পেয়ে গেলেন হাতেনাতে। তৃতীয় বলেই সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক।

মেহেদির স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারিতে আগেই ব্যাট অন সাইডে ঘুরিয়ে ফেলেন সাইম। তার ব্যাটের সামনের অংশে লেগে বল উঠে যায় আকাশে। সহজেই ফিরতি ক্যাচ নেন মেহেদি। রানের খাতা খুলতে পারেননি সাইম।

ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হারিস। ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মারেন তিনি। 

১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫ রান।

পাকিস্তান একাদশে পরিবর্তনের ছড়াছড়ি

মার্চের পর এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের একাদশে তারা এনেছে ৬টি পরিবর্তন। 

দল থেকে বাদ পড়েছেন ওমাইর ইউসুফ, উসমান খান, আব্দুল সামাদ, জাহান্দাদ খান, সুফিয়ান মুকিম ও মোহাম্মদ আলি। তাদের জায়গায় এসেছেন ফাখার জামান, সাইম আইয়ুব, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি ও আবরার আহমেদ। 

দুই বিশেষজ্ঞ পেসার হাসান আলি ও হারিস রউফের সঙ্গে একমাত্র স্পিনার হিসেবে আছেন আবরার আহমেদ। তবে একাদশে আছেন চার অলরাউন্ডার সালমান আলি আগা, শাদাব খান, খুশদিল ও ফাহিম। 

পাকিস্তান একাদশ: ফাখার জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), হাসান নাওয়াজ, শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।

বাংলাদেশের তিন পেসারের একাদশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হেরে যাওয়া একাদশে পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। তিন পেসার তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে আছেন দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন।

এছাড়া দলের প্রয়োজনে হাত ঘোরাতে দেখা যেতে পারে শামীম হোসেনকে।

একাদশে সুযোগ হয়নি সৌম্য সরকারের চোটে স্কোয়াডে ডাক পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের। ফলে পিএসএল প্লে-অফের পর এবার সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বেঞ্চে বসে থাকতে হবে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদি হাসান (সহ-অধিনায়ক), জাকের আলি, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার পাকিস্তান সিরিজ, টানা চার ম্যাচে টস হারলেন লিটন কুমার দাস। তবে এবার ভাগ্য বদল ঘটল বাংলাদেশের। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা।

লিটন বলেছেন, টস জিতে আগে ফিল্ডিংই নিতেন তিনি। তাই টসের সিদ্ধান্তে কোন সমস্যা নেই তার। স্বাগতিক অধিনায়ক বলেছেন, লাহোরের মাঠের 'পার' স্কোরের চেয়ে বেশি রান করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চান তারা।

শারজাহর দুঃখ লাহোরে ভোলার আশা

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও একবার নতুনের বার্তা দিয়ে বাংলাদেশ দলের শুরুটা হয়েছে খুব বাজে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গেছে তারা।

সপ্তাহ পেরোতেই সেই দুঃখ ভোলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে লিটন কুমার দাসের দল। এবার নতুন সিরিজে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু প্রথম ম্যাচ।

দুই দেশের মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে পাকিস্তান। ১৮ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টি জিতেছে বাংলাদেশ। এর বাইরে ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসেও জিতেছিল তারা। সেটিতে অবশ্য দুই দেশের কোনোটিরই জাতীয় দল খেলেনি।

তাই ২০১৬ সালের পর আর টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। টানা ৯ ম্যাচ হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এবার নতুন সিরিজ শুরু করবে তারা।