Published : 27 May 2025, 11:48 AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বলে এক বার্তায় জানানো হয়েছে।
সাম্য হত্যা মামলায় রোববার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির বিশেষ শাখা (ডিবি), যাদের মধ্যে তিনজনকে পরদিন রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। ওই তিনজন হলেন- সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিন।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন সুজন সরকার নামে আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। আর রিপন নামে গ্রেপ্তার আরেকজন আদালতে দোষ ‘স্বীকার করে’ জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট আট আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত ১৩ মে ঘটনার রাতেই তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিক নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলনে আসার বার্তায় ডিবির হাতে আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেওয়া হয়।
নতুন করে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাম্য হত্যায় সবমিলিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “প্রথমে তিনজন ও পরে ডিবির হাতে আটজনসহ সবমিলিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।”
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগসহ বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের অব্যাহত কর্মসূচির সঙ্গে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্রদল।
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটি তদন্ত শেষে সোমবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তার পরদিনই সাম্য হত্যার ‘রহস্য উদঘাটনের’ দাবি করল পুলিশ।