Published : 29 May 2025, 12:48 AM
জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার ধানমন্ডিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘট্নায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো এক আসামিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
এই আসামি হলেন- বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সোহানুর রহমান আজাদ। মামলায় তাকে উপজেলার চর এককরিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কৃষক লীগের নেতা বলা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেরা মাহবুবের আদালতে বুধবার রিয়াজ হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে আজাদকে জামায়াতের স্থানীয় নেতা দাবি করেন তার আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।
২৫ মে এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নুরু মিয়া ও আজাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার।
আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে আবেদনের ওপর শুনানি দিন বুধবার ধার্য করে। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
আজাদের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “গত ১৩ মার্চ আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জামায়াতের কর্মী, চর এককরিয়া ইউনিট সেক্রেটারি। তার সৎ ভাই আছেন শ্রমিক লীগে। আজাদ শ্রমিক লীগ করেন দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেভাবে হোক তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার রিমান্ড বাতিল করে জামিন প্রার্থনা করছি।”
আদালত রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য জানতে চায়। তখন সরকারি কৌঁসুলি ওমর ফারুক বলেন, আজাদকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের চর এককরিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে বাদী মামলার অভিযোগে বলেছেন।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “বাদী সুস্পষ্টভাবে এজাহারে বলেছেন, আজাদ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। মেহেন্দীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করেছি প্রতিবেদনের জন্য। আর তিনি সাবেক এমপির কাছের লোক। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত।”
তখন আজাদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাহলে প্রতিবেদন পাওয়ার পর শুনানি হোক। আর তাকে গ্রেপ্তার করার পর জামায়াতের পক্ষ থেকে থানায়ও তদবির করা হয়। যারা আন্দোলন করেছে তারা যদি মামলার শিকার হয়ে যায়, তাহলে আন্দোলন হলো কার পক্ষে?
অপর আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। তবে তারা শুনানি করেননি। পরে আদালত আজাদ বাদে অপর তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। তার রিমান্ডের বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দেবে বলেছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ অগাস্ট ঢাকার ধানমন্ডির সাইয়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলার দিকে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ অগাস্ট বিকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রিয়াজের মা শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।