০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সম্পাদক, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি (ছোটকাগজ)। ‘যার যার বাঁশি ও বন্দুক’ ও ‘শিশিরের বুকে শিস দিয়ে’ তার প্রকাশিত দুটি কবিতার বই। ‘আমাদের শিক্ষা: বিচিত্র ভাবনা’ ও ‘আমাদের শিক্ষা: নানা চোখ’ যৌথভাবে সম্পাদিত শিক্ষাবিষয়ক দুটি প্রবন্ধ-সংকলন। তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখে থাকেন। পেশায় একজন সমাজকর্মী।
প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্ব আজ এক ভয়াবহ নৈতিক সংকটে নিপতিত। ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে তাদের মনোভাবে তার প্রতিফলন ঘটছে।
বাংলাদেশে শিক্ষা নামক শকটের নিচে সবার আগে চাপা পড়ে শিক্ষার্থী আর শিক্ষক। তারা কেবল শকটকে সচল রাখার দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা নামক বিরাট নাক্ষত্রিক জগতের কক্ষপথে কোনোমতে ঝুলে থেকে প্রাণ রক্ষা করে চলেন।
যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরি এবং সেই সঙ্গে শান্তির আহ্বান ও দাবি ছড়িয়ে দেয়াই দেশে দেশে মানুষের অন্যতম কর্তব্য– পারমাণবিক বিজ্ঞানীগণ সেটা অনুভব করেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই। যুদ্ধবিরোধী এই দাবিই যুদ্ধবাজদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে প্রমাণিত।
যুদ্ধ ঠেকাতে আরও যুদ্ধ, অস্ত্র রুখতে আরও অস্ত্র– যুক্তির এই দুষ্টজাল থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
জেনারেল মুনীরের নিজেকে ভারতীয় মোদীর সামরিক পোশাকপরা পাকিস্তানি সংস্করণ হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াস এক চরম ব্যর্থতা। প্রথমত, হিন্দুরা সবসময়ই শত্রু এবং মুসলমানরা তাদের সঙ্গে একত্রে থাকতে পারে না— এ হলো মুসলমান সম্পর্কে মোদীর দাবির ‘বিপ্রতীপ প্রতিধ্বনি’।
এখন কমবেশি সবাই জানে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ— এই শব্দগুচ্ছ এক ভয়ঙ্কর নীলনকশার সারসংক্ষেপ। যা ধ্বংস করেছে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মিশর ও সিরিয়াকে। যার ফল চলমান গাজার গণহত্যায়।